শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:০২ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মংডুর বাসিন্দাদের এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। গতকাল রবিবার তারা এ নির্দেশ দিয়েছে রাখাইন বাসিন্দাদের। সোমবার এ খবর জানায় বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও থাইল্যান্ড-ভিত্তিক বার্মিজ সংবাদমাধ্যম ইরাবতি।
ইরাবতীর প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজ্যটির নিয়ন্ত্রণ দখলে কয়েক সপ্তাহ ধরে মিয়ানমারের জান্তার সাথে তীব্র লড়াই চলছে সংগঠনটির সশস্ত্র শাখা আরাকান আর্মির।
গতকাল সোমবার রোহিঙ্গাদের উদ্দেশে দেওয়া এক বার্তায় আরাকান আর্মি জানায়, ‘সোমবার রাত ৯ টার মধ্যে মংডু শহর ছেড়ে যাওয়ার জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুরোধ করা হচ্ছে। কারণ আমরা জান্তার অবশিষ্ট ঘাঁটিগুলোতে হামলা করতে যাচ্ছি। তাই নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে বাসিন্দাদের মংডুর সামরিক ঘাঁটি থেকে দূরে থাকতে বলা হলো।‘
আরাকান আর্মি জানায়, ১ জুন থেকে ১৩ জুনের মধ্যে তিনটি বর্ডার গার্ড ফোর্সের সদর দপ্তর এবং একটি সেনা ঘাঁটিসহ মংডুতে আরও ১০টি জান্তা ঘাঁটি দখল করা হয়েছে। তাদের দাবি, দুই পক্ষের লড়াইয়ে সেনাবাহিনীর বেস কমান্ডার কর্নেল তাইজার হতে সহ ২০০ জনেরও বেশি সরকারী সৈন্য নিহত হয়েছে।
সামরিক বিশ্লেষকরা ইরাবতীকে বলেছেন যে মংডুর পর রাজ্যের রাজধানী সিত্তে হবে আরাকান আর্মীর পরবর্তী টার্গেট।
ইতিমধ্যে জান্তা প্রশাসকসহ শহরের জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি রাজধানী সিত্তে ছেড়ে চলে গেছে। মিয়ানমারের জান্তার বিরুদ্ধে শহর রক্ষার জন্য সিত্তের গ্রামবাসীদের মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে জান্তা বাহিনী। সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং এই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন।
সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পরপরই বিক্ষোভ শুরু হয় মিয়ানমারে। ২০২২ সালের মাঝামাঝি থেকে সেই বিক্ষোভের নেতৃত্বে আসে জান্তাবিরোধী বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী। ২০২৩ সালে নভেম্বর থেকে দেশটির বিভিন্ন এলাকায় জান্তার বিরুদ্ধে জোটবদ্ধভাবে লড়াইয়ে নামে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো।
ভয়েস/আআ